ছেলে থেকে বুড়ো, সবার চোখ এখন মোবাইলে, বা বলা চলে, ফেসবুকে। তাই আপনার ব্যবসাকে বড় করতে একটি এফেক্টিভ উপায় হতে পারে ফেসবুক Ads
গত কয়েকবছরে বাংলাদেশে যেভাবে বেড়েছে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা, সেভাবে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনে ফেসবুক ব্যবহার করার হার। স্কিন-কেয়ার প্রোডাক্ট কিংবা কোর্স, ফেসবুকে বেচা-কেনা এখন তুঙ্গে, তাই এখনো ফেসবুক Ads কে ব্যবসা বড় করার জন্য আজ অথবা কাল, আপনি পিছিয়ে পড়বেনই!
Post তো দেই ই, Facebook Ads এর আবার কি দরকার?
৮০% ফেসবুক ব্যবহারকারী Ad দেখে Product/ Service কেনার আগ্রহ দেখান
আজকের দিনে ফেসবুকে নিয়মিত কন্টেন্ট দেয়া বা Ad রান করা কোন ইউনিক Strategy না, এটা মাস্ট একটা বিষয় –
কেন?
কারণ বাংলাদেশে প্রতি ৩ জন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ১ জন এখন ফেসবুকেই সময় কাটান।
সবার চোখ এখন ফেসবুকে, আর ই-কমার্সের প্রসারের সাথে সাথে মানুষ এখন ঘরে বসেই প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কেনার সাথে Used to.
আপনার Potential Customer এর Attention & Trust যেখানে আছে, আপনাকে দিনশেষে সেখানেই সময় আর অর্থ ইনভেস্ট করতে হবে, আর আজকের দিনে তারা আছে ফেসবুকে—নিউজফিডে, ভিডিওতে, গ্রুপে, স্টোরিতে।
এই একটি প্ল্যাটফর্মেই আপনি টার্গেট করতে পারবেন:
🎯 বয়স, লোকেশন, আগ্রহ, লাইফস্টাইল অনুযায়ী ক্রেতা
📈 বারবার বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ক্রেতার মন জয় করার সুযোগ
🛒 একটি ক্লিকেই ওয়েবসাইট বা ইনবক্সে নিয়ে আসার সুবিধা
ফেসবুকে নিয়মিত পোস্ট করলে সেটা দেখে শুধু আপনার পেইজ এর ফলোয়ার এর ১০-২০% মানুষ যদি না কন্টেন্টটা ভাইরাল হয়, কারণ বিজনেস পেইজ এর অর্গানিক কন্টেন্ট ফেসবুক তেমন প্রমোট করে না অর্গানিক্যালি।
অথচ, ফেসবুকে এড রান করলে, আপনি
একজন স্মার্ট ই-কমার্স ফাউন্ডারের জন্য, ফেসবুক মার্কেটিং হলো সেই গিয়ার, যেটা ঠিকঠাক ঘোরালে ব্যবসার গতি দ্বিগুণ হয়ে যায়।
কেন আমাদেরকে দিয়ে ফেসবুকে Ad রান করাবেন?
কারণ আমাদের টিম গত ৫ বছরে সব মিলিয়ে প্রায় ২০ কোটি টাকার এড রান করেছে, আর বর্তমানে প্রতিমাসে আমরা ১০টির ও বেশি বিজনেস এর এড রান করে দিয়ে তাদের জন্য প্রায় ২ কোটি টাকারও বেশি সেলস এনে দিচ্ছি। আমাদের ফেসবুক এড টিম শুধু ফেসবুকের এড ম্যানেজার এর টুলস চালানোয় এক্সপার্ট নয়, বরং আমরা কাজ করি কন্টেন্ট – ওয়েবসাইট/ Apps এবং ট্র্যাকারগুলো থেকে পাওয়া ডেটা এবং আমাদের এত বছরের মার্কেটিং, বিজনেস এবং এডভার্টাইজিং নলেজ এর উপর ভিত্তি করে।

Ad Brief
আপনার ব্যবসার জন্য ফেসবুক এড এর মাধ্যমে আপনি যেই লক্ষ্যে পৌছাতে চান, যেমন ধরুন, পেইজে লাইক নিয়ে আসা, কন্টেন্টে ভিউ/ এংগেজমেন্ট বাড়ানো, ওয়েবসাইট বেশি বেশি ভিউয়ার বাড়ানো, App Download বাড়ানো এবং সর্বোপরি ব্যবসার সেলস বাড়ানো – এই টার্গেটগুলোর এগেইন্সটে কিরকম কন্টেন্ট লাগবে তা শুরুতেই আমরা একটা ব্রিফ দিয়ে দিবো, আপনার বিজনেস, মার্কেটের ট্রেন্ড এবং আপনার কম্পিটিটর এনালাইজ করে – সেটা হতে পারে পোস্টার কিংবা ভিডিও।

Running Ads
ক্যাম্পেইনের বাজেট এবং টাইমলাইন ঠিক করে এবার সেই কন্টেন্ট এর উপর এড রান করবো আমরা – এনশিওর করবো যে এডটা যেন সকল বেস্ট প্র্যাকটিস ফলো করে, ফেসবুক দ্বারা ব্যান না হয় এবং বেস্ট রিটার্ন আনতে পারে।
তবেঁ, শুধু এড রান করে দিয়েই আমাদের দায়িত্ব শেষ হয় না, আমরা প্রতিনিয়ত চেক করি এড এর পারফর্মেন্স, কস্ট, সার্বিক অবস্থা – যদি কোথাও কোন পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হয় তবে তা আলোচনা সাপেক্ষে দ্রুততম সময়ে আমরা নিয়ে আসার ব্যবস্থা করি।

Ad Report
Campaign শেষ হলে আমরা একটা রিপোর্ট দিয়ে থাকি যেখানে টোটাল খরচ এবং রিটার্ন এর একটা ওভারভিউ থাকে।
একেকটা ক্যাম্পেইন মার্কেট সম্পর্কে একটা বার্তা দেয় আমাদের, আমরা আমাদের গ্রাহকদের সেই বার্তাটা বুঝতে সাহায্য করি, যাতে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন নিয়ে আসা যায়, এবং পরবর্তী ক্যাম্পেইনগুলোতে আরও ভালো পারফর্মেন্স নিয়ে আসতে পারি আমরা।
এখনো পুরোপুরি ক্লিয়ার না? আমাদের এক্সপার্ট টিমের সাথে বসতে চান?
একটি ৩০ মিনিটের কলে আমরা আপনার ব্যবসার ধরন বুঝে কিভাবে আপনি ফেসবুক এডসকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসাকে বড় করতে পারবেন – তাতে সাহায্য করতে পারি।

যে ৬টি ধাপে আমরা একসাথে কাজ শুরু করতে পারি
ধাপ ১
শুরুতে আমরা আপনার ফেসবুক বিজনেস পেইজ এবং ওয়েবসাইট (যদি থাকে) এর একটা ডিটেইল্ড এনালাইসিস করবো। এখানে আমরা বোঝার চেষ্টা করবো আপনার ব্যবসার ডিজিটাল হেলথ এর কি অবস্থা, তার করণীয় এবং ফেসবুক এড শুরু করার আগে আপনার বিজনেস এর ডিজিটাল ডোমেইন এ কি কি কাজ করা যেতে পারে।
বেস্ট রেজাল্ট পাওয়ার জন্য আমরা META Pixel, Google Analytics 4, Microsoft Clarity ইত্যাদি সেটআপও করে থাকি আমাদের এক্সপার্টদের মাধ্যমে।
ধাপ ২
আপনার বিজনেস নিয়ে এনালাইজ করে আপনার টার্গেট এর উপর ভিত্তি করে আমরা কিছু কন্টেন্ট এর ব্রিফ আপনাকে দিবো – যেই কন্টেন্ট এর উপর আমরা পরবর্তীতে এড রান করবো।
আজকের দিনে কন্টেন্টের কোয়ালিটির উপরই এড এর পারফর্মেন্স এর ৮০% সফলতা নির্ভর করে, তাই এই অংশটুকু প্রচণ্ড গুরুত্বপূর্ন। তবে আপনার যদি কন্টেন্ট তৈরি করার টিম বা সাপোর্ট না থাকে, কোন চিন্তা নেই, আমরা ইনফ্লুয়েন্সার – কন্টেন্ট ক্রিয়েটর – এক্সপার্ট এর সাহায্যে হাই কোয়ালিটি এড বানিয়ে থাকি, বিস্তারিত জানতে আমাদের সার্ভিস এর এড মেকিং সেকশান চেক করুন।
ধাপ ৩
পেইজ এবং ওয়েবসাইট Facebook Ads রান করার জন্য পুরোপুরি রেডি হলে আমরা আপনার ব্যবসার জন্য ফেসবুক এড প্ল্যান এর এক্সিকিউশান এর দিকে যাবো – তবে তার আগে আমাদের টিমকে Advertise Access দিয়ে Ad manager এ কার্ড এড করে দিতে হবে।
এরপর আমরা Ad এর কন্টেন্ট এর উপর ফাইনাল চেক দিবো যাতে করে কপিরাইট বা কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড এর ভায়োলেশান না হয়।
ধাপ ৪
সার্ভিস চার্জ ক্লিয়ার হয়ে গেলেই আমরা এড ক্যাম্পেইন চালু করে দেই – ইনভয়েস অনুযায়ী পেমেন্ট ক্লিয়ার করলেই We are ready to go!
ধাপ ৫
Ad Campaign Launch হলে আমরা ডেডিকেটেড WhatsApp Group এ নিয়মিত আপডেট দিয়ে থাকি এবং গ্রাহকের এন্ড থেকে সেলস এর ডেটা নিয়ে থাকি।
ধাপ ৬
আমাদের Facebook Ads সার্ভিস প্রতিমাসে Auto renew হয়ে থাকে, তাই আপনি যদি সার্ভিস ডীসকন্টিনিউ করতে চান তবে অন্তত ১৫ বিজনেস ডে পূর্বে আমাদের অবগত করার জন্য আহবান করা হলো।
যে ৬টি ধাপে আমরা একসাথে কাজ শুরু করতে পারি
আমাদের ফেইসবুক এডস সার্ভিস নিতে ক্লিক করুন
ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন:
হ্যাঁ। আমরা আপনার ফেসবুক বিজনেস পেইজ, ওয়েবসাইট, পিক্সেল সেটআপ থেকে শুরু করে কনটেন্ট ব্রিফ, অ্যাড ম্যানেজার সেটআপ পর্যন্ত সবকিছু A to Z হ্যান্ডল করি। চাইলেই আপনি পুরো প্রসেস আমাদের হাতে ছেড়ে দিয়ে শুধু বিজনেস গ্রোথে ফোকাস করতে পারবেন – কোন ঝামেলা ছাড়াই!
ফেসবুক অ্যাড ক্যাম্পেইনের খরচ নির্ভর করে আপনার ব্যবসার সাইজ, টার্গেট মার্কেট এবং ক্যাম্পেইনের স্কেল-এর উপর। সাধারণত:
মিনি স্কেল ক্যাম্পেইন: ৳২০,০০০–৳৫০,০০০ বাজেট
মিড স্কেল ক্যাম্পেইন: ৳৫০,০০০–৳২,০০,০০০ বাজেট
লার্জ স্কেল ক্যাম্পেইন: ৳২,০০,০০০+ বাজেট
আমাদের সার্ভিস চার্জ:
আমরা আপনার অ্যাড বাজেটের উপর ভিত্তি করে ১৫% সার্ভিস চার্জ গ্রহণ করি, তবে সর্বনিম্ন সার্ভিস চার্জ হলো ৳১৫,০০০। এটি অ্যাড বাজেটের বাইরে অতিরিক্ত খরচ।
উদাহরণস্বরূপ:
অ্যাড বাজেট: ৳৫০,০০০
সার্ভিস চার্জ (১৫%): ৳৭,৫০০
মোট খরচ: ৳৫০,০০০ (অ্যাড বাজেট) + ৳৭,৫০০ (সার্ভিস চার্জ) = ৳৫৭,৫০০
অ্যাড বাজেট: ৳৮০,০০০
সার্ভিস চার্জ (১৫%): ৳১২,০০০
মোট খরচ: ৳৮০,০০০ (অ্যাড বাজেট) + ৳১২,০০০ (সার্ভিস চার্জ) = ৳৯২,০০০
অ্যাড বাজেট: ৳১,০০,০০০
সার্ভিস চার্জ (১৫%): ৳১৫,০০০
মোট খরচ: ৳১,০০,০০০ (অ্যাড বাজেট) + ৳১৫,০০০ (সার্ভিস চার্জ) = ৳১,১৫,০০০
দ্রষ্টব্য:
সার্ভিস চার্জ এবং অ্যাড বাজেট পৃথক; সার্ভিস চার্জ অ্যাড বাজেটের অংশ নয়।
সার্ভিস চার্জের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত: কনটেন্ট ব্রিফিং, অ্যাড সেটআপ, পারফরম্যান্স মনিটরিং, রিপোর্টিং এবং অপ্টিমাইজেশন।
না, শুধু Boost করা একটা অপ্টিমাইজড ক্যাম্পেইনের ৩০% ক্ষমতাও দেয় না।
Boost মানে হচ্ছে শুধু একটা পোস্ট বেশি মানুষকে দেখানো।
কিন্তু Full Ads Manager দিয়ে Proper Campaign Structure তৈরি করা হয়:
Audience targeting
Conversion tracking
Retargeting strategy
Budget optimization
Custom creative testing
Boost করলে এগুলোর কিছুই হয় না। তাই Proper Ads Manager ছাড়া Serious Result আশা করা ভুল।
আমাদের টিম লাইভ ক্যাম্পেইন মনিটর করে — যদি দেখে পারফর্মেন্স কমছে (CPC বাড়ছে, CTR কমছে বা Sales কমে যাচ্ছে), তাহলে আমরা:
দ্রুত Split Testing চালাই (নতুন কন্টেন্ট, নতুন অ্যাড সেট)
Audience tweaking করি
Budget reallocation করি
Creative refresh করি
সবকিছু করা হয় মিনিমাম ডাউনটাইমে — যেন আপনার Sales Impact না হয়। এটা আমাদের সার্ভিসের অংশ, এক্সট্রা চার্জ নেই।
না, আমরা পারফরমেন্সের গ্যারান্টি দিতে পারি না, কারণ অনেক ফ্যাক্টর (বিজনেস মডেল, মার্কেট ফিট, কনটেন্ট কোয়ালিটি ইত্যাদি) আমাদের কন্ট্রোলের বাইরে।
তবে আমরা প্রতিটা ক্যাম্পেইনের পর ডেটা এনালাইসিস করে ফাইন টিউন করি, যাতে আপনার পরবর্তী মাসের রেজাল্ট আগের চেয়ে ভালো হয়।
আমাদের টার্গেট: ধারাবাহিক ইমপ্রুভমেন্ট, না যে প্রথম মাসেই ম্যাজিকাল রেজাল্ট।
ফেসবুক এডসের মাধ্যমে আপনি নিম্নলিখিত ফলাফলগুলো আশা করতে পারেন:
Brand Awareness বৃদ্ধি: আপনার ব্যবসার নাম এবং পণ্য সম্পর্কে আরও বেশি মানুষ জানতে পারবে।
Website Traffic বৃদ্ধি: এডসের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর সংখ্যা বাড়বে।
Lead Generation: সঠিক টার্গেটিং এর মাধ্যমে সম্ভাব্য গ্রাহকদের তথ্য সংগ্রহ করা যাবে।
Sales বৃদ্ধি: প্রাসঙ্গিক অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছে বিক্রয় বৃদ্ধি সম্ভব।
ফলাফল নির্ভর করে ক্যাম্পেইনের গুণমান, টার্গেটিং এবং বাজেটের উপর।
হ্যাঁ, আমরা ক্যাম্পেইন চলাকালীন নিয়মিত পারফরম্যান্স মনিটরিং করি:
ডেডিকেটেড WhatsApp গ্রুপ: আপডেট শেয়ার এবং কমিউনিকেশনের জন্য।
রিপোর্টিং: ক্যাম্পেইনের খরচ, রিটার্ন এবং অন্যান্য মেট্রিকসের বিস্তারিত রিপোর্ট প্রদান করা হয়।
অপ্টিমাইজেশন: পারফরম্যান্স অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হয়।
এই প্রক্রিয়ায় আমরা নিশ্চিত করি যে আপনার ক্যাম্পেইন সর্বোচ্চ রিটার্ন দিচ্ছে।